খুবি প্রতিনিধি : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রধান ফটকের নাম ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুবির আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৪টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান ফটকের নাম ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ ঘোষণা দেয়।
গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থাকা অবস্থায় রাজউক কমার্শিয়ালের সামনে থেকে ঠিক কপালে গুলি লেগে, ডান কানের নীচ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন মুগ্ধ। ভালো খেলোয়াড়, গায়ক, সংগঠক হিসেবে গত চার বছর ধরে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন খুবির ক্যাম্পাসে। গণিতে স্নাতক শেষ করে গত মার্চে ঢাকায় যান। এমবিএতে ভর্তি হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি)।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আইমান আহাদ বলেন, শহিদ মীর মুগ্ধ ভাইয়ের স্মরণে খুবির প্রধান ফটকের নাম ‘শহিদ মীর মুগ্ধ’ ঘোষণা করছি। মুগ্ধ ভাই শহিদ হয়েও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল। সারা দেশের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। আর যেন আমাদের শহিদদের নামে কোনো নাম রাখতে হয়না।
শহিদ মির মুগ্ধর বন্ধু গণিত ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী কাজী অর্ণব বলেন, আমার বন্ধু মুগ্ধ ছিলো একজন ম্যাজিক্যাল বয়। সে যেখানেই যেত ম্যাজিক ছড়াতো। জীবিত অবস্থায় সে আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়েছে। এখন সে পুরো জাতিকে দিচ্ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় যতদিন রবে, ততদিন রয়ে যাবে আমার বন্ধুর স্মৃতি।
উল্লেখ্য, এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মো: নূরুন্নবী, প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, প্রফেসর ড. মো. নুর আলম, প্রোফেসর শরীফ মোহাম্মদ খান, সহযোগী অধ্যাপক আবুল ফজল ও ইমতিয়াজ মাশরুর।