আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী দশই জানুয়ারি অর্থাৎ ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিউইয়র্কে ঘুষের মামলায় সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তাঁকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে গতকাল শুক্রবার একজন বিচারক জানিয়েছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কথা রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। খবর বিবিসি।
যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়াসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে। নিউইয়র্কের বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা জরিমানা না দিয়ে ‘শর্তহীন খালাস’ দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি তার আদেশে লিখেছেন যে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সশরীরে কিংবা ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ (একধরনের স্থগিত দণ্ডাদেশ) দেওয়া হবে; যার অর্থ তাঁকে কোনো হেফাজতে থাকার, আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কিংবা প্রবেশনের প্রয়োজন হবে না। এটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান।’
বিচারক হুয়ান মারচ্যানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ দৃশ্য বিরল। কেননা, ট্রাম্পের আগে দেশটির সাবেক কিংবা ক্ষমতাসীন একজন প্রেসিডেন্টও কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হননি।
তবে সামাজিক মাধ্যমে দেয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারকের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘অবৈধ রাজনৈতিক হামলা’ এবং ওই মামলাকে একটি ‘সাজানো পরিহাস’ বলে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবার ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চিয়াং দণ্ড দেয়ার আদেশ দেয়ায় বিচারক মার্চানের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং উইচ হান্টিংর নামে তাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কোন দণ্ড হওয়া উচিত নয় এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার লড়াই অব্যাহত রাখবেন,” বলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মামলায় পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা অঙ্গরাজ্যে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে ২০১৬ সালে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প।
অবশ্য ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন এ সবকিছু করেছে।