ডেস্ক রিপোর্ট: সিরিয়ায় স্বাধীন নির্বাচনের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরী করতে ১৮ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা রোববার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানান।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী দায়িত্বে থাকতে পারেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, আজ সোমবারই এই সরকার গঠন করা হতে পারে।
বিরোধী জোটের প্রধান হাদি আল-বাহরা আরও বলেন, ১৮ মাস পর নির্বাচন দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করা যাবে। এর মধ্যে ৬ মাস লাগবে নতুন সংবিধানের খসড়া করতেই। দোহা ফোরাম কনফারেন্সে সাইডলাইনে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে এসব তথ্য জানান তিনি।
এই হাদি আল-বাহরা সিরিয়ান ন্যাশনাল কলিশনের প্রেসিডেন্ট। ২০১১ সালে এই জোট গঠন করা হয়েছিল। বাশার আল-আসাদকে সরাতেই তারা এই জোট গঠন করেন। এবার বাশার পালিয়ে যাওয়ার পর জোট আরও বড় করার চিন্তা করছেন তারা।
জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল রেজুলেশন ২২৫৪ মেনেই এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে বলে জানান হাদি।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এভাবেই উল্লাস করেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। ২৪ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটায় স্বস্তি পাচ্ছেন তারা। বাশার আল-আসাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঢুকে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে নানা বয়সী মানুষ। তাঁর বাবা হাফিজ আল-আসাদের মূর্তিও ভেঙে ফেলে তারা।
সিরিয়ার কারাগারগুলো থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে কয়েকশ বন্দীকে। আসাদ সরকারের পতনে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে বিদেশে থাকা সিরীয়রাও। দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনীগুলো।