The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

‘ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে জৈবিক কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে’

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহে “বাংলাদেশে অধিক বিপদজনক কীটনাশক এবং রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা উন্নয়ন” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ির প্রশিক্ষণ কক্ষে ঐ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কীটতত্ত¡ বিভাগ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার কৃষি অফিসার ও কৃষকদের নিয়ে কর্মশালাটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে খামারবাড়ির সামনে থেকে একটি সচেতনতামূলক র‌্যালি বের করা হয়।

বাকৃবির কীটতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে বলেন, ২০২২ সালে সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই অধিক বিপদজ্জনক কীটনাশক যার ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসায়নিক কীটনাশক বিপনন ও ব্যবহারের সাথে জড়িতদের অধিকাংশই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানেন না। কিছু কিছু কীটনাশকের ব্যবহার করার অনুমতি না থাকলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে এবং কৃষক ব্যবহার করছেন। দেশের সার্বিক স্বার্থে কীটনাশক ব্যবহারের নিয়মাবলী ও নিষিদ্ধ কীটনাশক সম্পর্কে সকল কৃষক ও বিপননকর্মীসহ কৃষি অফিসারদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এর প্রতিস্থাপক হিসেবে জৈবিক কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এতে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ এলাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহের সভাপতিত্বে মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কীটতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল দাস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সালমা আক্তার, একই অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানুসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৪০জন কৃষি অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে এনায়েত উল্লাহ বলেন, কীটনাশক ম‚লত আবিষ্কার হয়েছিল কৃষির উন্নতি সাধনের জন্যই। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার আজ আমাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার পরিবেশের প্রায় সবগুলো সেক্টরেই এই ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। আজ আমাদের বায়ুমন্ডল ও জলজ ভ‚মিতে বিভিন্ন ভারো ধাতু পাওয়া যাছে। আমরা এখনই সচেতন হতে না পারলে একসময় আমরা খুব বড় একটি বিপদে পড়ে যাবো। তাই আমাদের কীটনাশকের সঠিক পরিমাণ ও সময় নির্বাচন করে আমাদের কৃষকদের জানাতে হবে। এতে আমাদের পরিবেশ তার পুরনো রূপ ফিরে পেতে পারে।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.