The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

ক্লাস-পরীক্ষায় বাধা নেই জবির ‘সেই ১০ শিক্ষার্থীর’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থীকে গত ২৫ মার্চ রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার ধুপখোলা এলাকার একটি মেস থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শিবির সন্দেহে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বিরোধী অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ৯০ তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের ওপর থেকে সেই বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এ আদেশ প্রত্যাহার করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে জবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, তারা যেহেতু জামিনে রয়েছে, তাই তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিবির সন্দেহে আটক হওয়া জবির শিক্ষার্থী ছিলেন ১১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। একজন যেহেতু আবেদন করেননি, তাই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারা জামিনে আছে, আর তারা সবাই আমাদের শিক্ষার্থী, সেই বিবেচনায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এখনো অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও মো. ওবায়দুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মেহেদী হাসান (মাহদী), হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস ও মো. শাহিন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. ফাহাদ হোসেন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি।

এদিকে বাকি শিক্ষার্থী সঙ্গীত বিভাগের আল-মামুন রিপন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করতে বিলম্ব করায় ওই ১০ জনের সঙ্গে তার বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.