মো.জাহিদ হোসেন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুকুরগুলোতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ (বৃহস্প্রতিবার) ২ জানুয়ারী ২০২৪ইং তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরগুলোতে বিনা অনুমতিতে মাছ ধরা নিষেধ এইরকম ব্যানার টানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকদিন যাবৎ লক্ষ করা যাচ্ছিল ক্যাম্পাসের রাণী পুকুর সহ অন্যান্য পুকুরে মাছ ধরছেন শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ বহিরাগতরা। গত শনিবার রাতে ২ জন বহিরাগতকে মাছ ধরা অবস্থায় পাওয়া গেলে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়।
এইরকম পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরসূমহ স্টেট শাখা দেখভাল করেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক সিদ্ধান্ত। এছাড়া তিনি মনে করেন, পুকুরগুলোতে সার্বক্ষণিক ও ক্লাস চলাকালীন সময়ে মাছ ধরার পাশাপাশি বহিরাগতদের মাছ ধরার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল তাছাড়া এভাবে বিনা অনুমতিতে যে কেউ মাছ ধরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বজায় থাকে না ভেবেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
স্টেট অফিসের পরিচালক ড. মো. আশারাফ আলী বলেন, “এভাবে যে কেউ ইচ্ছামত মাছ ধরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের সুষম বণ্টন হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটা পরিকল্পনা নিয়েই মাছগুলো ছেড়েছিল। মাছগুলো বড় হলে সেগুলো বাজারের থেকে কম দামে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেকহোল্ডাররা যেন কিনতে পারে। এতে করে সকলের মাঝে সম্পৃীতি বজায় থাকবে।”
এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রোহান আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন স্টেকহোল্ডার যেহেতু প্রশাসন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী। শিক্ষার্থীদের কাজ পড়াশোনা আর গবেষণা করা। তাই এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
অর্থনীতি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সজিব হাসান বলেন, “এটি প্রশাসনের একটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষার্থীরা মজার ছলেই মাছ ধরতে যায়, যেখানে হাতে গোনা কয়েকজনই মাছ ধরে, বাকিরা খালি হাতেই ফিরে আসে। মাছ ধরা নিয়ে তাদের মধ্যে কখনো কোনো বাকবিতণ্ডা হতে দেখা যায়নি। বরং, একজন মাছ ধরলে সবাই মিলে রান্না করে খায়, যা তাদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া একদমই যুক্তিসঙ্গত নয়।”
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান রাব্বি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ শিক্ষার্থীরা মাঝে মাঝে ধরে খেতেই পারে। কিন্তু একজন মানুষই যদি প্রতিদিন মাছ ধরতে থাকে তাহলে বিষয়টা ভালো দেখায় না। ব্যাক্তিমালিকানা হলে সেটি ভিন্ন বিষয়। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত যে, এটাকে আমাদের প্রফেশনের জায়গায় না নিয়ে পরিহার করা উচিত।”