উপসর্গহীন করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে কোয়ারেনটাইনের সময় ১০ দিন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, কর্মক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর অভাব দেখা দিয়েছে। এদিকে করোনায় মৃত্যহার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থার জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান জানান, সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ শনাক্তের হার কমছে। কিন্তু করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগবে- এই পরিসংখ্যান কি সত্যি? সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হলো- কয়েক সপ্তাহ আগে আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে মৃত্যুবরণ করছেন। নতুবা, কমেছে নমুনা পরীক্ষার প্রবণতা। আরও কয়েক মাস নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরও ২০ লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। এ নিয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৪২ কোটি ছাড়ালো। এদিন জার্মানিতে সর্বোচ্চ ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষ নতুনভাবে করোনা পজেটিভ হয়েছেন। দেশটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪৪ জন। এদিকে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দু’হাজারের ওপর প্রাণহানি দেখলো যুক্তরাষ্ট্র। এক লাখের বেশি মানুষের শরীরে মিললো করোনাভাইরাস।
প্রাণহানির দিক থেকে পরের অবস্থানেই রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন দেশটিতে মারা গেছেন ১১শ’ বেশি মানুষ। করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার প্রকোপে সারাবিশ্বে মৃত্যুবরণ করেছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। মোট প্রাণহানি ছাড়ালো ৫৮ লাখ ৮১ হাজার।
বাংলাদেশে ধীরে ধীরে কমে আসছে করোনার প্রকোপ। ওমিক্রণের কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউ পার করছে দেশটি।