জবি প্রতিনিধি: বাণিজ্যিক বিভাগের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবিতে) গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় ধাপের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ শারীরিক ভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন।
জবিতে এইবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২,৮৪৩জন। এর মধ্যে দিপ্ত বিশ্বাস নামে শারীরিক ভাবে অসুস্থ ১ জন শিক্ষার্থী তিনি জবি মেডিকেল সেন্টারে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, ডা. মিতা শবনম।
দিপ্ত বিশ্বাস দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও শ্রুতি লেখক মো. সাব্বির ইসলাম এর সাহায্যে পরীক্ষা দিয়েছেন, তিনি ঢাকা নারিন্দা থেকে মায়ের সাথে এসেছেন এবং তিনি কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
দিপ্তর মা বলেন, ওর বয়স যখন ৪ বছর তখন ক্লাস প্লে-তে ভর্তি হওয়ার সময় ওর ব্রেটিলাতে স্পট ধরা পরে, তখন থেকে সে দূরের লেখাগুলো স্পষ্ট দেখে না এবং ব্লাকবোর্ডের লেখা দেখতে পারে না, তখন থেকে চিকিৎসা করাচ্ছি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কোন ফল পাইনি, উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে ডাক্তার বলেন যে এতে কোন লাভ হবে না, এটি তার জীনগত সমস্যা।
পরীক্ষা শেষে দিপ্ত বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে, কয়েকটি প্রশ্ন শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে আসছে, তাছাড়া বাকী প্রশ্ন গুলো স্যান্টার্ড ছিলো। শ্রুতি লেখক থাকায় পরীক্ষা দিতে কোন সমস্যা হয় নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে দেশের সেবা করতে চাই।
এর আগে, গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় তিন জন শারীরিক ভাবে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন জবি কতৃপক্ষ। তারা হলেন, ফৌজিয়া আক্তার প্রাপ্তি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়ালেখা করেছেন।
মাসুম শাহরিয়ার ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, তার দুই হাত নেই, তাই তিনিও শ্রুতি লেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
ফার্মগেট থেকে আসা মাইশা আক্তার দোলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় অ্যাকসিডেন্ট করায় পায়ে ফ্র্যাকচার নিয়ে মেডিকেল সেন্টারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন।