ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের টাকা লুট করে যারা বিদেশে পাচার করে তারা কখনোই দেশ প্রেমিক হতে পারে না। আর কোনো আলেম দেশের টাকা লুট করে বিদেশ বাড়ি করে নাই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড.আফম খালেদ হোসেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় হিলির আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আল আজীজিয়া আনওয়ারুল মাদ্রাসার উদ্যোগে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে ওলামায়ে কেরামের ভুমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী বুধবার এবারের হজ্ব প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে একটি করা হবে পবিত্র কাবাঘর থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের ভেতরে আর একটি হবে পবিত্র কাবা ঘর থেকে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার এর ভেতরে। আসা যাওয়ার জন্য ট্রান্সপোর্ট এর ব্যবস্থা ও আরামে থাকার জন্য ভালো বাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। আমরা প্যাকেজ চূড়ান্ত করেছি এবারে হজ্বের খরচ গতবারের চেয়ে কম হবে। তবে কত কমবে তা এই মুহূর্তে আমি বলবো না।
তিনি আরও বলেন, আপনি বিরানি খাবেন বা আমরা বিরানি খাব এজন্য একটু পয়সা বেশি দিতে হবে না। আপনি এসি ভালো রুমে থাকবেন একটু পয়সা বেশি দিতে হবে না। আপনি আলু ভর্তা ডাল দিয়ে খান বেড়ার ঘরে থাকেন তাহলে পয়সা কম দিতে হবে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে শুধু বলেন কমাও কমাও। কোন জায়গায় কমাবো বিমানের ভাড়া কমিয়েছি। সৌদি আরবকে একটা টাকা দিতে হয় সেটাতে আমাদের হাত নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটা ট্যাক্স আছে সেটি মওকুফ করাইছি বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন বিমানে উঠবেন এটার ভাড়া দিতে হয় ওইটা কমায়ে দিয়েছি বিমানের ভাড়া কমাইছি ।সবগুলো কমিয়ে দিয়েছি। যেখানে যেখানে কমানো সম্ভব। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সৌদি রিয়াল আজকে ৩২ টাকা এর ফলে একটা প্যাকেজে ৪০ হাজার টাকা আমাদের বেড়ে গেছে যা গত বছর ছিল না। তারপরেও কমিয়ে দিতে চেষ্টা করেছি। আর কোনো এজেন্সি যদি অনিয়ম করে আপনাদের সেবা না দেয় তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট রয়েছে। আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি এখানে পাসপোর্ট যাত্রী দুদেশের মাঝে পারাপার করে থাকেন। তাই হিলি রেলস্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেন থামানোর আপনাদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করবো। যেহেতু আমি নিজে পরিদর্শন করে গেলাম এর প্রয়োজন রয়েছে তাই এর চাহিদার বিষয়টি সেই মন্ত্রণালয়কে জানাবো। এরপরে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে বিশেষ দোয়া করেন।
হিলি মাদ্রাসার মুহতামিম সামশুল হুদা খানের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস রহমান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজন মিঞা, (তদন্ত) জাহাঙ্গির হোসেনসহ অনেকে।
এরপরে তিনি হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন ও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অবগত হন। বন্দরের কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হবে বলেও জানান তিনি। পরে তিনি দিনাজপুরের উদ্দেশ্য হিলি স্থলবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।