কুবি প্রতিনিধি: গত পহেলা জুলাই থেকে শুরু হওয়া সরকারি চাকরিতে কোটা পুণর্বহালের প্রতিবাদে ছাত্র আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরিক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। এতে ১১টি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরিক্ষা বর্জন করে বলে জানা যায়।
শনিবার (৬ই জুলাই) বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভরা (সিআর) এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা আগামী রবিবার (৭ই জুলাই) থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষনা দেয়। এখন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে নৃবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, বাংলা, গণিত, আইন, হিসাববিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং, পদার্থ বিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন এবং ফার্মেসী বিভাগ।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর মাহিম বলেন, আমাদের বাংলাদেশের অস্তিত্ব দাঁড়িয়ে আছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর ভিত্তি করে। বায়ান্ন থেকে একাত্তর শিক্ষার্থীরাই ছিলো ফ্রন্টলাইনে। তাছাড়া এ কথা অনস্বীকার্য যে‚ মেধার মূল্যায়নই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের নামে কোটা বৈষম্য করে মেধাবীদের উপর কুঠারাঘাত আনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত হানার নামান্তর। তাছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ নং অনুচ্ছেদে সরকারি চাকুরিতে সমতার বিধানকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই‚ কোটার নাম করে দেশকে মেধাশূন্য করে ফেলার এ ধরণের সংবিধানবিরোধী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকে শিক্ষার্থী সমাজ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করি। তাই আমরা সকল ধরণের শ্রেণী কার্যক্রম বর্জন করলাম। আমাদের দাবী আদায় হলে মেধাভিত্তিক জাতি গড়ার প্রত্যয়ে পুনরায় শ্রেণী কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবো।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম আবির বলেন, আমরা মূলত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছি সরকারী চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নামে যে বৈষম্য চলছে তার প্রতিবাদে। কোটা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটা বৈষম্য। আমরা যেটার বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। তার ধারাবাহিকতায় আমাদের দাবী মেনে না নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এই ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উল্লেখ্য ৪ঠা জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনে প্রায় তিন ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।