বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২৪তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ মে। ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কে হচ্ছেন বাকৃবির ২৫তম উপাচার্য! ইতোমধ্যে বিশ^বিদ্যালয়েটির উপাচার্য হওয়ার জন্য একাধিক শিক্ষক বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
বিভিন্নসূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়টির বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, সার্জারি এন্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খানসহ আরও অনেকে।
উপাচার্য হতে আগ্রহীদের তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। উপাচার্য হওয়ার আগে তিনি আগে তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আওয়ামী পন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর বায়োটেকনলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সভাপতি, ক্রপ সায়েন্স সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি, বাংলাদেশ জেএসপিএস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারের পে অ্যান্ড সার্ভিস কমিশন ২০১৪ এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেেছন। এছাড়াও অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক এবং বিশ^বিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত¡ ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি বিশেষজ্ঞ হিসেবে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েও কাজ করেছেন। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা এআইপি’ সম্মাননা পেয়েছেন।
উপাচার্যের দৌড়ে রয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন বর্তমানে বাউরেসের পরিচালক হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন। তিনি খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স এক্সপার্ট এবং এক্সটারনাল পিয়ার রিভিউ টিম লিডার/ডিগ্রি প্রোগ্রামের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। ড. জয়নাল আবেদীন বাকৃবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ও বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া উপাচার্যের দৌড়ে রয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্স ও ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার ও বিশ্ব ভেটেরিনারি ও পোল্ট্রি সমিতির সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্বরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক, নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট এবং ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইন্সিটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন।
উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিশ^বিদ্যারয়ের সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি। তিনি বর্তমানে বাকৃবি আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইন্সিটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির পরিচালক, বাকৃবি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের পরিচালক, বাকৃবির আবাসন কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন এন্ড রিসার্চের সভাপতি, সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ^বিদ্যালয়ের হল প্রভোস্টেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম। তিনি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, পরবর্তীতে সভাপতি, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাউরেসের পরিচালক, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা-২০২০” ও “কৃষি যান্ত্রিকীকরণ রোড ম্যাপ-২০১৩ ও ২০১৯ এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, উন্নয়ন প্রণোদনা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের “ফিড দি ফিউচার” ও ইউএসএইড এর অর্থায়নে কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও যান্ত্রিকীকরণে সাফল্যের জন্য দেশে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন।
উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। বর্তমানে তিনি বাকৃবির উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বাউরেসের পরিচালক, প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরির পরিচালক, বিশ^বিদ্যারয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের (একাংশ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।