কেক কেটে ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বিগত কয়েক বছর অনিবার্য কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়নি। এ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় মুখরিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ, সেখানে আনন্দ শোভাযাত্রা এবং আলোচনা হবে।
জয় আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব ধরনের ইতিবাচকতা বজায় রেখে আগেকার দিনের মতো শিক্ষার্থীর স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে ভূমিকা রাখবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ও দেশব্যাপী সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের নেতারা।
এ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রতিনিধিদল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, ফাতিহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে যান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন ও আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আলোচনাসভা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পথশিশুদের মধ্যে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং বিকেল ৩টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার বেলা ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। ৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজেয় বাংলা’ সংলগ্ন বটতলায় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।