২ রানে মুশফিকুর রহিমের হাতে জীবন পাওয়ার পর কুশল মেন্ডিস আরও তিন-তিনবার জীবন পান। তার মধ্যে তৃতীয়বার ৩১ রানে জীবন পান বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়াতে। এক প্রান্তে যখন উইকেট পড়ছিল আরেক প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত তার গড়ে দেওয়া ভিতে জয়ের হাসি হাসে শ্রীলঙ্কা।
দুবাইয়ে বাঁচা মরার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। তাতে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় বাংলাদেশের। সুপার ফোরে নাম লেখায় শ্রীলঙ্কা।
কেন রিভিউ নেওয়া হয়নি? শুধু তাই নয়, এর আগেও এমন হয়েছে বারবার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পর এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তার সহজ স্বীকারোক্তি, তাকে কেউ বলেনি রিভিউ নিতে। সাকিব বলেন, ‘কেউই শোনে নাই আসলে। কাভারে ছিলাম, শুনতে পাইনি। কেউই বলেনি, ভাই রিভিউটা নেন। বোলার থেকে শুরু করে কেউই না।’
২৯ রানেও আউট হয়েছিলেন মেন্ডিস। মেহেদির বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। মুশফিক ক্যাচ ধরলেও বলটি নো হয়। এরপর ইবাদতের বল মেন্ডিসের ব্যাট ছুঁয়ে যায় মুশফিকের হাতে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। উলটো দেন ওয়াইড। রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ। পরে দেখা যায় বল ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। আর চতুর্থবার রানআউট থেকে বেঁচে যান।
মেন্ডিস থামেন ৩৭ বলে ৬০ রান করে। এরপরও সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ইবাদত হোসেনের এলোমেলো বোলিংয়ে সবশেষ হয়ে যায়। ইবাদত প্রথম ২ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিলেও শেষ ২ ওভারে দেন যথাক্রমে ২২ ও ১৭ রান। ওয়াইড দেন ৬টি, আর নো ২টি। মেহেদিও শেষ ওভারে আরেকটি নো বল দেন। তাইতো এমন পুঁজি গড়ার পরও হেরে যায় বাংলাদেশ।