আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেছেন, কৃষিতে নতুন উদ্ভাবিত পণ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হলো মিডিয়া। সংবাদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় জেনে তারা বিকাশিত হয়েছে। বাকৃবির গবেষণায় সফলতা আসলে সত্যিকার অর্থে উপকৃত হবে কৃষক।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের নিজস্ব দক্ষতা উন্নয়নে ৮ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য।
তিনি আরও বলেন, মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে প্রযুক্তি। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যই হলো গবেষণার ফলাফল গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাকৃবি কাজ করে যাচ্ছে। আর বাকৃবির সফলতা বিশ^ দরবারে তুলে ধরছে বাকৃবিতে কর্মরত সাংবাদিকরা। কৃষি সাংবাদিকতা বাংলাদেশকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) প্রশিক্ষণ কক্ষে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। ‘বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বাকৃবিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের ১৭ জন সাংবাদিক এবং ২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং আইআইএফএসের সহযোগী পরিচালক ড. রাখী চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম (ভার্চুয়ালি) এবং আইআইএফএসের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারিদা ইয়াসমিন বারি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, একটি গবেষণা মাঠ পর্যায়ে না গেলে সেটি পরিপূর্ণতা পায় না। পত্রিকায় প্রকাশ করলে সাথে সাথেই সাড়া পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রযুক্তির সফলতা এই মিডিয়ার মাধ্যমেই সারাদেশে পৌঁছায়। দেশে মাছ চাষে এখন শীর্ষে রয়েছে ময়মনসিংহ। মিডিয়ার মাধ্যমেই এটি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমন এবং বোরোর মাঝে সরিষা যুক্ত করতে পারলে কৃষকের আয় বাড়বে। সুপরিকল্পিতভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের এগুলো তুলে ধরতে হবে। কৃষি বানিজ্যিকিকরণে অগ্রসর হতে হবে। পণ্যকে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে, এতে অপচয় কম হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনেক গুরুত্ব আছে। প্রফেশনাল সাংবাদিকরা কৃষি বিষয়ক অনেক কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে আমাদের সাংবাদিকদের ভূমিকা নিতে হবে।
এসময় আইআইএফএসের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ফারিদা ইয়াসমিন বারি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। তাদের মেধা দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকার সাথে যুক্ত থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সময় উপযোগী বিষয়ে তারা প্রশিক্ষণগুলো নেয়। বিশ্ব মন্দায় তারা এই বিষয়কে বেছে নিয়ে এবার প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে। নবীন সাংবাদিকেরা এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবে।