বাকৃবি প্রতিনিধি: ফলনোত্তর কৃষি পণ্যের ক্ষতি কমাতে বাকৃবির নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’। এই কোল্ডস্টোরেজ পরিবেশবান্ধব ডিজাইন যা ফলনোত্তর কৃষি পণ্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করে। দেশের ফল ও শাকসবজির কার্যকরী জীবনকাল এবং গুনমান উন্নত করবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বিএইউ-এডিআই হরটিকুল কোল্ড স্টোরেজ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা। গবেষণার সহযোগী ছিলেন এগ্রোমেক ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভসের (এডিআই) কো-অর্ডিনেটর ড. সুরজিৎ সরকার ও লেকচারার সাহাবুদ্দীন আহমেদ।
এ সময় প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই হাইব্রিড সিস্টেমটি তৈরি করেছি। এটি সোলার, ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক সংযোগে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় স্বতন্ত্রভাবে চলতে সক্ষম হবে। এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো এটি ২২০ ভোল্টেজের একক লাইনে চলবে। আরেকটি সুবিধা হলো এটি সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সেন্সর সংযুক্ত করে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে এটি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাথমিক খরচ বেশি হলেও পরবর্তীতে তেমন আর খরচ নেই।
শুক্রবার বিশ^বিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ওয়ার্কশপে বাকৃবির নিজস্ব ডিজাইনকৃত ওই কোল্ড স্টোরেজ এর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। ‘কোল্ড স্টোরেজ সলিউশন ফর রিডিউসিং পোস্ট হারভেস্ট লসেস অব ফ্রুটস এন্ড ভেজিটেবলস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে ওই স্টোরেজ ডিজাইন করা হয়। পরবর্তীতে গবেষণা করে এটি আরও উন্নত করা হবে।
এ সময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের কৃষকেরা খরা, শীত, অতিবৃষ্টি, বন্যার সাথে লড়াই করে অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে। কিন্তু সেই ফসল যথাযথ সংরক্ষণের অভাব ও অপচয়ের জন্য বাজারে প্রভাব পড়ে। অনেক সময় বেশি পণ্য উৎপাদনের ফলে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পায় না। এজন্য হরটিকুল স্টোরেজ সিস্টেমটা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই যন্ত্র পণ্য সংরক্ষনে ভূমিকা রাখবে যাতে কৃষকরা তাদের পণ্যগুলো সংরক্ষণ করতে পারবে।