সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: দেশের গুচ্ছভুক্ত আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। ৮ টি মূল কেন্দ্র ও তিনটি উপকেন্দ্রে ৮১ হাজার ২১৯ জন ভর্তিচ্ছুর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে ১০ হাজার ৪২ জন পরিক্ষার্থী।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও কৃষি গুচ্ছের জবি উপকেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাহজাহান বলেন, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় তিনটি উপকেন্দ্রের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। এখানে ১০ হাজার ৪২ জন শিক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনোরকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই জবি উপকেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নিতে পারবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন ও কৃষি গুচ্ছের জবি উপকেন্দ্রের যুগ্ম ফোকাল পয়েন্ট অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। তিনি পরিক্ষার্থীদের হাতে সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পরামর্শ দেন।
এবছর কৃষি গুচ্ছে আবেদন পড়েছে ৮৪ হাজার ৫১টি। এদের মধ্যে আবেদন ফি পরিশোধ করেছে ৮১ হাজার ২১৯ জন ভর্তিচ্ছু। গুচ্ছভুক্ত আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা তিন হাজার ৫৪৮টি। গতবারের চেয়ে আবেদন সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৭২টি, পাশাপাশি বেড়েছে ৯টি আসন। এ হিসাবে প্রতি আসনে লড়ছেন ২৩ শিক্ষার্থী। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
৮টি মূল কেন্দ্রের মধ্যে বাকৃবি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬২০, বশেমুরকৃবি কেন্দ্রে ৭ হাজার, শেকৃবি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৫শত, সিকৃবি কেন্দ্রে ৪ হাজার ২শত, হকৃবি কেন্দ্রে ৪১১, সিভাসু কেন্দ্রে ২ হাজার, পবিপ্রবি কেন্দ্রে ৪ হাজার ও খুকৃবি কেন্দ্রে আসন পড়বে ২ হাজার জন শিক্ষার্থীর। এছাড়াও ৩টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৮১৭, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪২ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসন পড়বে ৪ হাজার ৬২৯ জন ভর্তিচ্ছুর আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭৫টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে।
২০২২ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সাথে এসএসসি বা সমমানপরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে। কৃষি গুচ্ছে ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য (acas.edu.bd) ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।