সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের মাধ্যমিক ও ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। রবিবার (১২ জুন) কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের মাধ্যমিক ও ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে চলতি বছরের যোগ্য প্রার্থীরাও অংশ নেবেন। এবারে আবেদনের যোগ্যতা সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮ থেকে বাড়িয়ে ৮.৫ করা হয়েছে। এ যোগ্যতার মধ্যে প্রত্যেক ভর্তিচ্ছুই পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
জানা গেছে, এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত সর্বমােট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আগের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ এবার নতুন একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যুক্ত হয়েছে। সে হিসেবে মোট ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা।
এর আগে বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যা অনুযায়ী আবেদন করা ভর্তিচ্ছুদের তিনগুণ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন। কিন্তু এবার সে নিয়ম থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাপক শহীদুর রশীদ বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যাসহ যাবতীয় বিষয় পরবর্তী সভায় আলোচনা করা হবে। সভাটি শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে আটটি গুচ্ছভুক্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (হকৃবি)।
প্রসঙ্গত, কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন বাতিল অথবা বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন ভর্তিচ্ছুরা। তারা বলেছিলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞানের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। সেখানে কৃষি গুচ্ছে মাত্র ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে। ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুগো বঞ্চিত হবে। এই অবস্থায় সিলেকশন বৃদ্ধি অথবা একাধিক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
এদিকে, আজ কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় সিলেকশন বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে ভর্তি পরীক্ষায় বসতে পারবে সবাই।