কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু পরিষদ দুই গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে৷
সাইদুল-আল-আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুর্শেদ রায়হান সমর্থিত গ্রুপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও অন্যপক্ষ কাজী ওমর ও জাহিদ সমর্থিত গ্রুপের অভিযোগ নির্বাচন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে এবিষয়ে অবগত করা হয়নি। এতে শিক্ষকরা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসলেও নির্বাচনে যারা অংশ নেয়নি তারা বাঁধার সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, এবারের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু পরিষদদের একাংশ সাইদুল আল আমিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুর্শেদ রায়হানের অংশটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ একাংশের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী জাহিদ হাসান শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন ও দিন তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিলেন।
এদিকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার কথা থাকলেও হট্টগোলের কারণে একটি ভোটও নিতে পারেননি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কেন্দ্রে শিক্ষকরা ভোটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও ওমর-জাহিদ গ্রুপের নেতার দরজা অবরোধ করে রাখলে নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্তে ভোট কার্যক্রম স্থগিত হয়।
ওমর-জাহিদ গ্রুপের নেতাদের দাবি, ‘নির্বাচন কমিশন কখন ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করছে আমরা জানি না। নির্বাচন পূর্বে যেমন শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হতো, এবারও হবে। ‘
এদিকে শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচন আয়োজন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনাররা জানান, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লাউঞ্জে ভোটগ্রহণের ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি। তাই এখানে নির্বাচন আয়োজন করতে হয়েছে।’
নির্বাচনের বিষয়ে ভোটাররা জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন জানান, আমরা রাতে সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের অবগত করেছি।