কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন সিন্ডিকেট সভায় হল সমূহে ‘প্রচুর অস্ত্র ঢুকছে ও শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন। এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে না পারলে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রতিবাদলিপি জমা দেন পাঁচ আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদলিপিতে থেকে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের স্বাভাবিক পরিবেশ ও শিক্ষার মান সমুন্নত রাখতে উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং অতিশীঘ্রই আবাসিক হলসমূহ খোলার আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
আরও জানা যায়, উপাচার্য দাবি করেন ‘আবাসিক হলগুলোতে প্রচুর অস্ত্র ঢুকছে ও শিক্ষার্থীদেরকে টাকা দেওয়া হচ্ছে’। আমরা আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এই বক্তব্যে হতভম্ব ও বিস্মিত। এই দাবি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের জন্য লজ্জার ও অপমানজনক। এমন দাবি হলের শিক্ষার্থীদের নৈতিক এবং তাদের স্বাভাবিক জীবন প্রক্রিয়ার দিকে আঙুল তুলে। প্রভোস্টবৃন্দ উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেছেন। তারা দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন হলসমূহে কোন অস্ত্র কিংবা টাকা নেই এবং তারা শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই এ ধরনের কোন কার্যকলাপের সাথে আমরা সাথে জড়িত নই।
এ বিষয়ে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রবি চন্দ্র দাস বলেন, ‘উপাচার্য স্যার যে অযৌক্তিক দাবি করেছেন তা আমাদের হলের শিক্ষার্থীদের জন্য লজ্জার ও অপমানজনক। এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের মাধ্যমে সারা দেশে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন। আবাসিক হলের স্বাভাবিক পরিবেশ ও শিক্ষার মান সমুন্নত রাখতে উপাচার্য স্যারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়াসহ আমাদের হলসমূহ খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে তিনি আমাদের দাবি না মানলে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপে যাবো।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে ওই প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করেন- রবি চন্দ্র দাস, আবদুল্লাহ আল মাছুম, উজ্জ্বল হক, তানজিনা ইসলাম এবং লাবিবা ইসলাম।