কুবি প্রতিনিধি : আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষক সমিতির যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিতকরনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও সশরীরে ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতির ০৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবি বারংবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও প্রশাসন দাবিবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে নি।উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল ‘কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে শাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখান করেন।
চিঠিতে আরো বলা হয় এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মান উপচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধানের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে আপনি, মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় কোশাধ্যক্ষ ড. মো আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, তদের দাবিগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে বসেন। তারা বলেছিলো তারা বসবে। কিন্তু তারা বসেন নি।
তিনি আরো বলেন, তারা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিকে কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সেটি শিক্ষক সমিতি ভালো বলতে পারবে।
এদিকে আগামী ২৮ এপ্রিল (রোববার) থেকে সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্বান্ত নিয়েছে তারা। তারা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও অনলাইন সুবিধাসমূহের অপ্রতুলতা, লোডশেডিং, অনলাইন ক্লাসসমূহে চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাসের পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল হওয়ার কারণে রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
শিক্ষকদের সশরীরে ক্লাসে যাওয়ার বিষয়ে উপাচার্য ড. এএফএম আব্দুল মঈন বলেন, মূলত তারা কেন এমনটা করছে আমি বুঝতে পারছি না। পূর্বে তারা ক্লাস বর্জন করেছে। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু গরমের কারণে এখন প্রশাসন কর্তৃক অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা তারা মানছেন না। তারা মূলত প্রশাসনের বাহিরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।