নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তবে বুধবার (পহেলা মে) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধনে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা পোষণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন ও শেখ হাসিনা হলের হাউস টিউটর মো. আল আমিন।
এসময় তারা প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এবং ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে অবস্থান করতে পারবে।
পরবর্তীতে একে একে অন্যসব হলের প্রাধ্যক্ষরাও শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের দাবির সাথে ঐক্যমত পোষণ করেন।
মানববন্ধনে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ নাসির হোসাইন বলেন, গণমাধ্যমে যে বিষয় গুলো আসছে যে উপাচার্য বলছেন আবাসিক হলে প্রচুর অস্ত্র কিংবা ঢাকা ঢুকতেছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতেছি আমার হলের মধ্যে কোন টাকা কিংবা অস্ত্র ঢুকে নাই। সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীসুলভ না। আমি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্বতা পোষণ করছি। আমি আমার হল খোলা রাখবো।
শেখ হাসিনা হলের একমাত্র হাউস টিউটর আল আমিন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একমত। শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে থাকতে পারবে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসে এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় নাই যে, বিকাল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করতে হবে। হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ছাত্ররা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নোটিশ দিয়েছে এটা নিয়ে আমরা স্ট্রিক্ট না। যদি ছাত্ররা মনে করে হলে থাকতে হবে তাহলে তারা থাকতে পারবে, আর যদি বন্ধের মধ্যে চলে যেতে চায় তাহলে চলে যেতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, আমি প্রশাসনের পক্ষ থেকে হল খালি করতে যাবো না। হলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে না। তবে যারা চলে যেতে চায় তারা চলে যেতে পারবে।