কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অধ্যয়নরত সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সংগঠনের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১০ টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৪০৯ নং রুমে এ আয়োজন করা হয়।
কুইজ প্রতিযোগিতা মাধ্যমে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সংগঠনের ১৫ তম ও ১৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কৃত করা হয়।
সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মুহসিন জামিলের সঞ্চালনায় সহ সভাপতি তুহিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম।
এসময় নবীনদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন আমার আপন ঠিকানা। এই সংগঠনে সঙ্গে থাকার ফলে শত দূরত্বে থেকেও মনে হয় পরিবারের সাথে আছি। আমি এই সংগঠনের ছায়াতলে থাকতে চাই। যতদিন থাকবো এই সংগঠনের সবার সঙ্গে মিলেমিশে একসাথে পথ চলতে চাই।
গণিত বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী প্রিয়া মনি দেব বলেন, প্রথম যখন ক্যাম্পাসে এসেছি তখন অনেক খারাপ লাগাতো। কিন্তু এই সংগঠনে এসে বড় ভাইবোনদের সাথে কথা বলে মনে হলো আমি সিলেটেই আছে। এখন আমার আর খারাপ লাগে নেই। শেষ পর্যন্ত এই সংগঠনের সাথে থাকতে চাই।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণত সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন আমার আবেগের জায়গা। ক্যাম্পাস অন্য সব জায়গায় আমরা ফরমাল। কিন্তু আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা ইনফরমাল। সিলেটের মানুষ খুব অতিথিপরায়ণ। আর এটি একটি মানবিক সংগঠন। আমরা দূর্যোগে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। সিলেটে বন্যা কবলিত মানুষদের সহায়তা, শীতবস্ত্র বিতরণ, অনাথ শিশুদের কাপড় বিতরণসহ ইত্যাদি মানবিক কাজে আমরা অংশগ্রহন করেছি।
তিনি নবীনদের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, আজকের নবীন বরণের মধ্যে দিয়ে তোমার আনুষ্ঠানিকভাবে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন পরিবারের সদস্য হয়েছো। তোমরা সবাই সবার সাথে মিলেমিশে থাকবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম বলেন, সিলেট থেকে আমিই প্রথম কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়। আমার নিজের আরেকেটি ঠিকানা হচ্ছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি প্রথম যখন এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়। আমার বিপদে সবসময় কাছে থেকেছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এইখানে আসলে আমার মন আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। আমি খুব গর্বিত এই সংগঠনকে নিয়ে। এই ফিলটা নেওয়ার জন্য হলেও এইখানে আসবেন আপনারা। তিনি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, সবার প্রথম ও প্রধান কাজ পড়াশোনা করা। তারপর বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমসহ বাকি কাজে অংশগ্রহণ করবেন। সংগঠন এসে আপনারা মানসিক প্রশান্তিটা পাবেন।