নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি)। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ) সকালে বাণী অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
পরে প্রতিমা স্থাপন, বাণী বন্দনা, পুষ্পাঞ্জলি, পূজা অর্চনা, প্রসাদ বিতরণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আশেপাশের অসংখ্য সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই পূজায় অংশ নেন।
পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সুব্রত সরকার বলেন, আমরা প্রতিবারের ন্যায় এবারও সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছি। কিন্তু প্রতিবারই আমাদের আর্থিক সংকটের কারণে অল্প পরিষরে আয়োজন করতে হয়েছে। এদিকে আশেপাশের সনাতন ধর্মী যারা এখানে আসে তারাও আশায় থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজাতো অংশগ্রহণ করবে। আশা রাখি পরবর্তীতে পূজা আয়োজনের বিষয়টিতে প্রশাসন সু’নজর থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ধর্মের উপাসনালয় নেই। যদিও মন্দিরের জন্য সাবেক এবং বর্তমান উপাচার্যের বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু ফলস্বরুপ আস্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। অন্তত আমাদের প্রার্থনা ও আসবাবপত্র রাখার ব্যবস্থা করো দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী যে শিক্ষার্থীবৃন্দ আছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পরপরই পূজো করে আসছে। করোনাকালীয় সময়ে পূজো বন্ধ ছিল। এখন আমরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূজোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সনাতন ধর্মে যে পূজা, আচার এবং সংস্কৃতি বিদ্যমান আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিদ্যাদেবীর আরাধোনার জন্য তারা এই পূজা করে থাকে। আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকুক।‘
উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজা একটি জনপ্রিয় হিন্দু উৎসব। বসন্ত পঞ্চমীতে প্রতিবছর এই পূজা উদযাপিত হয়। এই পূজাটি পূর্ব ভারত, উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশ, নেপাল এবং আরও অনেক দেশগুলিতে অত্যন্ত উতসাহের সাথে উদযাপিত হয়। হিন্দু পঞ্জীকা অনুসারে এই উৎসব প্রতি বছর মাঘ মাসের পঞ্চম দিনে অর্থাৎ পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয়। মা সরস্বতীকে শিক্ষার দেবী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।