হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি:মানবিকতার সবচেয়ে বড় নিদর্শন হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান। স্বেচ্ছায় রক্তদান, বাঁচাতে পারে শত শত প্রাণ। জীবন বাঁচানোর তাগিদে, অন্যকে সুন্দর পৃথিবী দেখানোর লক্ষ্যে, একদল স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একমাত্র রক্তদাতা সংগঠন “বন্ধু “।
মানুষের মধ্যে সেই হলো সর্বশ্রেষ্ঠ, যে অন্য মানুষকে সাহায্য, সহযোগিতা করে থাকে। আর রক্ত দান করার মতো সাহায্য আর কিছু হয় না। এই পৃথিবীতে যত রকম দান আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা আর পবিত্র দান হচ্ছে রক্তদান। কারণ জীবন রক্ষার চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না। স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন ‘বন্ধু’ শুধু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কাজ করে তা না, ‘বন্ধু ‘ বৃহত্তর কুমিল্লার দিন মজুর থেকে শিল্পপতি সবার জন্য কাজ করে।
শনিবার ২৯ (অক্টোবর) বিকাল তিন টায় ‘বন্ধু ‘র সপ্তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়ার ২য় তলায় বন্ধু’র রুমে
আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর “যদি করি সেচ্ছায় রক্তদান বাঁচবে জীবন বাঁচবে প্রাণ” স্লোগানকে সামনে রেখে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী ও উদ্যমী তরুণের হাত ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘বন্ধু ‘ সংগঠন। তারপর থেকে সংগঠনটি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রায়” নয় হাজার” ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করে দিয়েছে’ বন্ধু’ । এবং রক্তদাতাদের উৎসাহের জন্য প্রতি বছর সর্বোচ্চ রক্তদানকারী ২৫-৩০ জনকে দেওয়া হয় রক্তদান সম্মাননা।
সংগঠনটির সভাপতি রাসেল মাহমুদ ভূইয়া ‘বন্ধু’ সম্পর্কে বলেন, মানবতার সেবার নিয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বন্ধু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ৭ম বছর পেরিয়ে ৮ম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বন্ধু আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। যাদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে সংগঠনটি গড়ে উঠেছে এবং যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘বন্ধু’ আজ এই পর্যন্ত এসেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও ‘বন্ধু’র সকল উপদেষ্টা, সদস্য, রক্তযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, সবার ভালোবাসায় সিক্ত থেকে ‘বন্ধু, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকবে এবং সারাদেশে বৃহৎ রক্তদাতা সংগঠন হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে এই কামনা করছি।