কুবি প্রতিনিধি: গুচ্ছভুক্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ভর্তি পরীক্ষার্থীদেরকে সেবা দিতে বুথ বসানোকে কেন্দ্র প্রক্টরের কার্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই কুমিল্লা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ঘটেছে।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এমন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। দুই পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকেই ডাকেন ভারপ্রাুপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। প্রক্টরের সামনেই দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ান।
ঘটনার সময় উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আলাচনার এক পর্যায়ে হল শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দ সমর্থিত অংশের ছেলেরা (অছাত্ররা) প্রক্টর অফিসে আসার বিষয়ে কথা তোলেন। এসময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরীর হৃদয় ও নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী কাউসার হোসেনের মাঝে বাগবিতণ্ডা সূত্রপাত হয়। এ বাগবিতণ্ডা পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
হাতাহাতির বিষয়ে সালমান চৌধুরী বলেন, আমি প্রক্টরক স্যারকে প্রশ্ন করেছিলাম-বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কী করে? এসময় কাউসার উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং আমাকে ঘুষি মারে।
তবে কাউসার দাবি করছেন, সে বিকেলবেলা বিভাগীয় কাজে ক্যাম্পাসে গেলে সালমান, মাসুম, পলাশ, পাপন, শান্তসহ আরও অনেকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সে প্রক্টরের নিকট অভিযোগ দিতে গেলে তারা আবার সেখানে উপস্থিত হয়ে আমকে বহিরাগত সম্বোধন করে আক্রমণ করে বসে।
ঘটনার পরে কারও থেকে কোনো অভিযোগপত্র পাননি দাবি করে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে কারও কোনো অভিযোগপত্র আসেনি। একই স্থানে ছাত্রলীগের দু’টি পক্ষ বুথ বসাতে গেলে তাদের মাঝে উচ্চবাচ্য হয়। পরে আমরা আলোচনা করে সমাধান করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে ২০ তারিখে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবস্থা নেব।