The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে মুখোমুখি প্রশাসন ও  শিক্ষক সমিতি

কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত হয়নি বিভাগীয় প্রধান  ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন। এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশেষ প্রার্থীকে নিয়োগ দানের জন্য অবৈধ শর্ত আরোপ উল্লেখ করে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তির দাবি জানানো হয়।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার (৬মার্চ) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড সকাল সাড়ে ১০টায় বসার কথা ছিল। যেখানে যাচাই বাছাই করে ৩৫ জন‌ পরীক্ষার্থীকে ডাকা হয়। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ড বসেনি। এছাড়াও ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার নিয়োগ বোর্ডে আসেনি।

নিয়োগ বোর্ডে না আসার বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ মখছেদুর রহমান কোন‌ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়জন অধ্যাপক ১ম ও ২য় গ্রেডে আবেদন করেছে তাদের পদোন্নতি না দেওয়া  এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে তার সমাধান না করে প্রফেসর নিয়োগের বোর্ড আয়োজন করা হয়েছে। একজন ডিন হিসেবে এসব আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।  এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বোর্ডে যাইনি। এছাড়া আমি জানতে পেরেছি কিছু অছাত্র বোর্ড শুরু হওয়ার আগে উপাচার্যের দপ্তরে অবস্থান নিয়েছে। যারা গত ১৯ তারিখ শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে আমি সেখানে যাইনি।

শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল বলেন, ভিসির সাথে গতকালের দাবির প্রেক্ষিতে আলোচনা চলছে। আমাদের যে দাবি অর্থাৎ সকল অবৈধ পদোন্নতি ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বন্ধ না করা পর্যন্ত আমরা কোন নতুন নিয়োগ দিতে দিবো না। আজকের যে নিয়োগ বোর্ড এটাও আমরা স্থগিত করতে অনুরোধ করবো।

এসব বিষয়ে জানতে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে দপ্তরে গিয়ে কল দিলে প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ  নিয়োগ নীতিমালা বহির্ভূত অবৈধ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি বাতিল, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা এবং বর্তমান উপাচার্যের আমলে ইতিপূর্বে নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণে যত অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্য হয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি করার পর নীতিমালা অনুসরণ করে পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে যথাযথভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.