The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

কুবিতে ধীরগতিতে ইন্টারনেট সেবা, বিরক্ত শিক্ষার্থীরা

নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের বর্ধিত অংশে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওয়াইফাইয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। পুরাতন অংশে ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেও তা চলছে কচ্ছপ গতিতে। ফলে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে নানা ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাদের দাবি, সময়ে সময়ে ওয়াইফাই সংযোগের দাবি জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না প্রশাসন।

জানা যায়, গেল বছরের মার্চ থেকেই হলের বর্ধিত অংশে থাকতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দীর্ঘদিন যাবত অন্যান্য আবাসিক হল ও পুরাতন অংশে ইন্টারনেট ধীর গতিতে চলছে। এতে বই পড়া, তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্রাউজিং করতে না পারা, অনলাইনের বিভিন্ন ক্লাসে সংযুক্ত হতে না পারার মতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ধীরগতির কারণে অকারণেই ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, বৃহস্পতিবার অনলাইন ক্লাস থাকলেও আমরা ইন্টারনেট অসুবিধার কারণে ক্লাস করতে পারছি না। ফলে বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যের ডাটা কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের বাড়তি খরচের বোঝা বহন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে হলের শিক্ষার্থী দীপ চৌধুরী বলেন, যেখানে অনলাইন ক্লাস করা দূরহ সেখানে গবেষণার করার কথাতো হাস্যরসাত্মক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বারবার গবেষণার কথা বললেও সেদিকে মনোনিবেশ করতে পারছে না এই হলের শিক্ষার্থীরা।

বর্ধিত অংশে ইন্টারনেট সংযোগের দাবি করে শাহিনুল ইসলাম গালিব বলেন, ওয়াইফাই সংযোগের জন্য একবছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। প্রশাসন প্রতিবার আশ্বাস দিলেও ওয়ার্ক আউটের কথা বলে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রশাসন চাইলে আমরা ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে যেতাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, হলের ব্রডব্যান্ড (ওয়াইফাই) সংযোগের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর দু’বার রিটেন দিয়েছি। প্রত্যয়পত্র (এলসি) নিয়ে একটু ঝামেলার কারনে একটু সময় লাগছে। তবে এখন পর্যন্ত আমার জানা মতে ওয়াইফাইয়ের যন্ত্রাংশগুলো আমদানির কাজ চলমান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবিষয়ে ভালো বলতে পারবে।

আইসিটি সেলের সিনিয়র প্রোগ্রামার মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের দিকে হলের বর্ধিত অংশের ব্রডব্যান্ড সংযোগের কাজ শুরু হতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম. আবদুল মঈন বলেন, আমরা ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চাই। এজন্য যন্ত্রাংশগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। প্রত্যয়পত্র নিয়ে কিছু ঝামেলা থাকায় একটু সময় লাগছে। আশাকরি এ মাসের মধ্যেই ওয়াইফাই সমস্যার সমাধান হবে। কানেক্টিভিটি লস ও ধীর গতির বিষয়টি দ্রত সমাধান করা চেষ্টা করছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.