কুবি প্রতিনিধি: হলের আসন বরাদ্দকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমানকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ফাইজা মাহজাবিন লোক প্রশাসন বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি শেখ হাসিনা হলের ২১৮ নং কক্ষের আবাসিক ছাত্রী।
খোঁজ জানা যায়, শনিবার হল প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্দকৃত এক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে তুলেন ফাইজা। এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ দৃষ্টিগোচর হলে তাঁর কাছে জানতে চাইলে উভয়ের মাছে বাগবিতণ্ডা হয়।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান অভিযোগ করেন, হল প্রশাসন প্রেয়সী সানাকে ২১৬ নম্বর কক্ষের ওই সিটে বরাদ্দ দিয়েছে। সানা সিটে উঠতে গিয়ে ৩০৬ নম্বর কক্ষের আনজুমকে দেখে আমার কাছে অভিযোগ করলে আমি সিট পরিবর্তন করার বিষয়ে আনজুমের কাছে জানতে চাই। তখন ফাইজা এসে আমাকে বলে, ‘আমি হলের সভাপতি; আমি যাকে যেখানে সিট দেব, সে সেখানে থাকবে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী ফাইজা মাহজাবিন বলেন, স্যারের সাথে আমার বিতর্ক হয়েছে মাত্র। বেয়াদবি হওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমার ওপর ওনার পূর্ব ক্ষোভ থাকায় বিষয়টিকে অতিরঞ্জন করা হচ্ছে।
পূর্ব ক্ষোভের বিষয়ে ফাইজা বলেন, হল প্রভোস্ট প্রায়সময়ই হুটহাট আমার রুমে ঢুকে যায়, মেয়েদের রুমে ঢুকে তাঁদের লকার চেক করে। এ বিষয়ে ওনাকে বেশ কয়েকবার বলায় তিনি আমার ওপর ক্ষেপে আছেন। সেই পুরনো ক্ষোভের কারণেই বিষয়টিকে এখন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, আমি কোনো রুমে ঢুকতে চাইলে আগে থেকেই জানিয়ে রাখি। বিভিন্ন রুমের নষ্ট লকার ঠিক করতে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে কি না- তা চেক করেছি।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, তাকে (ফাইজা মেহজাবিন) দায়িত্ব দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সাধারণ মেয়েদের সমস্যা সমাধান করার জন্য। সে যদি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে অন্যায় কিছু করে থাকে, আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। তবে ছাত্রলীগের হল ইউনিটের সভাপতি হিসেবে সে কোনো শিক্ষার্থীকে সিটে উঠাতেই পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাসে সিট রাখাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছিলো শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে।