কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে প্রথমবারের মতো প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছ বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন ব্যাডমিন্টন কোর্টে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এসময় তিনি বলেন, ”প্লাস্টিক বোতল শুধু আমাদের পরিবেশের জন্য নয় বরং প্লানেটের জন্যও বিপদজনক। আমাদের ভালোভাবে বাঁচতে হলে সাসটেইনেবল প্লানেট গড়ে তোলা অতীব জরুরি। এরই অংশ হিসেবে প্লাস্টিকের বিনিময়ে গাছ একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ। তোমরা যে গাছগুলো নিচ্ছো সেগুলোর নিয়মিত যত্ন নিবে। যারা আজকের এই প্রোগ্রামটাকে সাফল্যমন্ডিত করেছো তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
হালিমা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ”আজকের এই আয়োজনটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। তাই ভালো লাগাটাও কম নয়। আসলে বৃক্ষ হলো আল্লাহ তা’য়ালার দেয়া অন্যতম এক নেয়ামত। গত কয়েক শতক ধরে মানুষ সভ্যতা গড়ে তুলতে বৃক্ষ নিধন করে আসছে যা সত্যিই হৃদয়বিদারক। আজ পুরো বিশ্ব তাপদাহের সাক্ষী এবং এর পরিমান আরো যে বাড়বে তা সহজেই অনুমেয়। তাই, এই কঠিন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে বৃক্ষরোপনের কোনোই বিকল্প নেই। যার একটি নতুন সূচনা বলা চলে আজকের এই আয়োজনটি। এবং এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। কারণ এসব কর্মসূচি আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়।”
অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল্লাহ আল সিফাত বলেন, ”পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক কতটা ক্ষতিকর সেটা আমরা সবাই জানি। আমরা চাই পরিবেশের শত্রু প্লাস্টিক না থাকুক। যদিও এটা করা সম্ভব নয়। তবে আমরা চাচ্ছি প্লাস্টিকের প্রতি মানুষের ঘৃণা জন্মাক। এবং পাশাপাশি পরিবেশের বন্ধু যে গাছ সেটার প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি হোক। একটা গাছ দিলে যে সেটা পরিবেশের প্রতি বড় ইফেক্ট ফেলবে তা না। তবে যদি একটা গাছ দিয়ে গাছের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি করতে পারি তাহলে তার দ্বারা হাজার হাজার গাছ রোপন করা সম্ভব। আমরা অভয়ারন্য চাই, এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাস্টিকের প্রতি মানুষের ঘৃণা তৈরি হোক এবং মানুষ এটা ব্যবহার না করুক। এবং পাশাপাশি মানুষ প্রচুর পরিমানে গাছ রোপন করুক এবং পরিবেশের বন্ধু গাছের যত্ন নিক।”
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রায় ১৫ প্রজাতির ফুল ও ফলজাতীয় গাছ প্লাস্টিকের বিনিময়ে বিতরণ করা হয়। এদের মধ্যে ছিলো কৃষ্ণচূড়া, বকুল, কাঠবাদাম, পেয়ারা, কড়ি, লিচু, জাম ,বেলি, রঙ্গন,রাধাচূড়া, সোনালু, টগর ও কাঞ্চন।
এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো.আসাদুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড.মোহা. হাবিবুর রহমান, সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সিফাত ও সংগঠন অন্যান্য সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।