The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

কাফনের কাপড় গায়ে আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে প্রমোশনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। বুধবার (২১ জুন) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সড়ক অবরোধের পর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাফনের কাপড় গায়ে দিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তারা।  জানা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত গরম ও রোদে ৪ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেছেন। এরমধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম মোস্তফা বলেন, অব্যবস্থাপনার জন্য সাত কলেজের শিক্ষকরা দায়ী। চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা ফল পাই না। আবার যখন রেজাল্ট দেয় তখন দেখতে পাই আমাদের অধিকাংশই ফেল করেছে অথবা নট-প্রমোটেড হয়েছে। এমন অবস্থা আর চলতে পারে না। আমাদের শর্ত শিথিল করে প্রমোশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে দুপুর ১২টায় নিউমার্কেটের বলাকা সিনেমা হলের সামনে জড়ো হন তারা। পরে সাত কলেজের শিক্ষকরা এসে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থীদের ইডেন কলেজের সামনে নিয়ে যান। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান করেন। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবি মেনে নিলেও একটি মানেনি প্রশাসন। তাই এক দফা দাবিতে ইডেন কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে নীলক্ষেতে এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সাতদফা দাবি গুলো হলোঃ

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

২. যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড তাদের সর্বোচ্চ ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে।

৩. সব বিষয়ে পাস করার পরও একজন স্টুডেন্ট সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন-প্রমোটেড হচ্ছেন। সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

৪. বিলম্বে ফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফল প্রকাশ করতে হবে।

৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে/ কারা? কোথায় তাদের (শিক্ষার্থী) সমস্যাগুলো উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

৬. একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সাত দাবি নিয়ে আন্দোলনে সাতকলেজ শিক্ষার্থীরা

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.