দেশের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ৪ মাস ১২ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো মাছ শিকার শুরু হয়েছে। আর মধ্যরাত থেকে চিরচেনা রূপে ফিরছে কাপ্তাই হ্রদ। শুরুর প্রথম দিনই রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে বিকাল পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টনের অধিক মাছ আহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফডিসি।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা মাছ শিকার শুরু করায় সকাল থেকে রাঙ্গামাটির বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে মৎস্য ব্যবসায়ীদের কর্ম তৎপরতা শুরু হওয়ায় প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মাঝে। খুলে দেয়া হয়েছে শহরের সকল বরফ কল। জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের তৎপরতা শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটি শহরের মাছের বাজারগুলোতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের এক আদেশে গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে তিন মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদের সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেও কাপ্তাই হ্রদে কাঙ্খিত পরিমাণ পানি না থাকায় দুই দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে প্রশাসন মাছ শিকারের নিষিদ্ধের আশে তুলে নেয়ায় জেলেরা আবারো মাছ শিকার শুরু করে। রাঙ্গামাটি জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া জানান, কাপ্তাই হ্রদে ৪ মাস ১২ দিন মাছ শিকার বন্ধের পর মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় রাঙ্গামাটির বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে প্রথম দিনে প্রচুর পরিমাণ মাছ এসেছে এবং এবার সাইজেও বড়। আশা করছি এবার মাছের আহরণ ভালো হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তারের জন্য এবার দীর্ঘ সময় হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ ছিল। আশা করছি এবার ভালো পরিমাণ মাছ আহরণ হবে এবং মাছের উৎপাদন আগামী দিনের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। এতে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।