আর কিছুদিন পরেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের। এশিয়াই দ্বিতীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মেগা ইভেন্ট।কাতারের ৮টি স্টেডিয়ামে অনুষ্টিত হবে এইবারের আসরের ৬৪ টি ম্যাচ।যার মধ্যে আলাদা করে নজর কেড়েছে স্টেডিয়াম ‘নাইন সেভেন ফোর’ স্টেডিয়ামটির নামে যেমন বৈচিত্র্য রয়েছে তেমনি বৈচিত্র্য রয়েছে এর নির্মাণশৈলীতেও। এটা বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি স্টেডিয়াম তো বটেই, বিশ্বের প্রথম পরিবহনযোগ্য স্টেডিয়ামও এটি।
আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড (+৯৭৪) এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম।মজার ব্যাপার হচ্ছে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে ৯৭৪ টি শিপিং কন্টেনার দিয়ে।বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম স্টেডিয়াম যা বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর পরই ভেঙ্গে ফেলা হবে।পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এই কন্টেনারগুলা দান করা হবে বিশ্বের অন্যান্য স্বল্প উন্নত দেশের ফুটবলের উন্নয়নে।
কাতারের ৮টি স্টেডিয়ামের মধ্যে এটি সপ্তম।এর পূর্ব নাম ছিলো রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম।কাতারের রাজধানী দোহার আবু আবুদ শহরের একদম সমুদ্রের পাশ ঘেষে দাড়িয়ে আছে নান্দনিক নাইন সেভেন ফোর। ৪ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ মিটারের এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারন ক্ষমতা ৪০ হাজার।এটির ডিজাইন করেছে স্পেনের স্থাপত্যবিষয়ক সংস্থা ফেনউইক ইরিবারেল আর্কিটেক্টস।৩০ নভেম্বর ২০২১ সালে, আরবকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিরিয়া মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্টেডিয়াম।২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ৭টি ম্যাচ অনুষ্টিত হবে এই স্টেডিয়ামে।যার মধ্যে ৬টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ,বাকি ১টি রাউন্ড অব সিক্সটিনের।মেসির আর্জেন্টিনা,নেইমারের ব্রাজিল,ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল,রর্বাট লেভানডস্কির পোল্যান্ড এবং ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়ান ফ্রান্সও গ্রুপ পর্বে একটি করে ম্যাচ খেলবে এই স্টেডিয়ামে।শুধু কি ইউরোপ কিংবা আমেরিকা? এই স্টেডিয়ামের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। ৯৭৪ স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালীন মাঠের প্রধান চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত থাকবেন বাংলাদেশের নারী চিকিৎসক চট্টগ্রামের মেয়ে আয়েশা পারভীন।মরুর বুকে এক টুকরো লাল সবুজের প্রতিনিধিত্ব করবে বাংলার পারভীন।বাংলাদেশের জন্য এই অর্জনটাও কম কিসের?