The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪

কলার সুতার মতো অংশটি খাওয়া উচিত?

কলা খেতে কে না ভালোবাসে? পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, অন্যদিকে আবার দামেও স্বস্তা। নাস্তার জন্য তাই চমৎকার একটি খাবার হিসেবে কলা সকলেরই প্রিয়।

তবে কলা খাওয়ার সময় অনেকের কাছেই বিরক্তির একটি বিষয় হচ্ছে, কলায় লেগে থাকা সুতার মতো অংশ। অনেকেই এটিকে কলার খোসার অংশ মনে করেন। তাই কলার খোসা ছাড়ানোর পর কলায় লেগে থাকা সুতার মতো অংশগুলো ছাড়িয়ে তারপর কলা খেয়ে থাকেন।

কলার সুতার মতো অংশটি মূলত একটি টিস্যু, যার নাম ফ্লোয়েম বান্ডেল। খোসা ছাড়ানোর পর কলায় ফ্লোয়েম বান্ডেল লেগে থাকতে দেখা যায়।

এই ফ্লোম বান্ডেলগুলো খেতে সুস্বাদু না হলেও, খাওয়াটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ফেলে দিয়ে কলা খাওয়াটা আপনার উচিত হবে না- এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউট্রিশন রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. নিকোলাস ডি গিলিট।হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

ড. গিলিট বলেন, যদিও আমরা নির্দিষ্টভাবে ফ্লোয়েম বান্ডেল নিয়ে গবেষণা করিনি, তবে সম্ভবত এর পুষ্টিগুণের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। যেহেতু এগুলো একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি। কলার তুলনায় ভিন্ন পুষ্টিগুণ এতে রয়েছে বলে আশা করা যায়।

ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজের দিকে তাকিয়েই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ফ্লোয়েম টিস্যু উদ্ভিদের দুই ধরনের পরিবহন টিস্যুর একটি, যা সকল উদ্ভিদের মধ্যেই রয়েছে। পুষ্টি এবং অন্যান্য উপাদান পুরো উদ্ভিদে পরিবহন করে এই টিস্যু। কলার মধ্যে ফ্লোয়েম থাকার কারণ হচ্ছে, এটি পুষ্টিগুলো পুরো কলায় ছড়িয়ে দেয়, যা কলার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

ড. গিলিটের মতামত, কলার ফ্লোয়েম বান্ডেলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে এবং ফলের মূল অংশ হিসেবে এটিও পুষ্টিকর। এমনকি, সম্ভবত পুরো কলার তুলনায় এর ফ্লোয়েম বান্ডেলে অনেক বেশি ও বিভিন্ন ধরনের ফাইবার রয়েছে। আর যেকোনো ফাইবার মানেই স্বাস্থ্যকর।

এই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘সাধারণত ফলের সব অংশই পুষ্টিকর। আপেল, নাশপাতি অন্যান্য ফলগুলো খোসা সহ খাওয়া হয়ে থাকে। ফ্লোয়েম বান্ডেল তো অবশ্যই, এমনকি চাইলে খোসাসহ কলা খাওয়া যেতে পারে। বেস্বাদ হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণায় কলার খোসা ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হয়নি।’

তবে, কলার খোসা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না ডা. গিলিট।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. লাইফ স্টাইল
  3. কলার সুতার মতো অংশটি খাওয়া উচিত?

কলার সুতার মতো অংশটি খাওয়া উচিত?

কলা খেতে কে না ভালোবাসে? পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল, অন্যদিকে আবার দামেও স্বস্তা। নাস্তার জন্য তাই চমৎকার একটি খাবার হিসেবে কলা সকলেরই প্রিয়।

তবে কলা খাওয়ার সময় অনেকের কাছেই বিরক্তির একটি বিষয় হচ্ছে, কলায় লেগে থাকা সুতার মতো অংশ। অনেকেই এটিকে কলার খোসার অংশ মনে করেন। তাই কলার খোসা ছাড়ানোর পর কলায় লেগে থাকা সুতার মতো অংশগুলো ছাড়িয়ে তারপর কলা খেয়ে থাকেন।

কলার সুতার মতো অংশটি মূলত একটি টিস্যু, যার নাম ফ্লোয়েম বান্ডেল। খোসা ছাড়ানোর পর কলায় ফ্লোয়েম বান্ডেল লেগে থাকতে দেখা যায়।

এই ফ্লোম বান্ডেলগুলো খেতে সুস্বাদু না হলেও, খাওয়াটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ফেলে দিয়ে কলা খাওয়াটা আপনার উচিত হবে না- এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউট্রিশন রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. নিকোলাস ডি গিলিট।হাফিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।

ড. গিলিট বলেন, যদিও আমরা নির্দিষ্টভাবে ফ্লোয়েম বান্ডেল নিয়ে গবেষণা করিনি, তবে সম্ভবত এর পুষ্টিগুণের মধ্যে পার্থক্য থাকবে। যেহেতু এগুলো একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি। কলার তুলনায় ভিন্ন পুষ্টিগুণ এতে রয়েছে বলে আশা করা যায়।

ফ্লোয়েম টিস্যুর কাজের দিকে তাকিয়েই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। ফ্লোয়েম টিস্যু উদ্ভিদের দুই ধরনের পরিবহন টিস্যুর একটি, যা সকল উদ্ভিদের মধ্যেই রয়েছে। পুষ্টি এবং অন্যান্য উপাদান পুরো উদ্ভিদে পরিবহন করে এই টিস্যু। কলার মধ্যে ফ্লোয়েম থাকার কারণ হচ্ছে, এটি পুষ্টিগুলো পুরো কলায় ছড়িয়ে দেয়, যা কলার বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

ড. গিলিটের মতামত, কলার ফ্লোয়েম বান্ডেলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে এবং ফলের মূল অংশ হিসেবে এটিও পুষ্টিকর। এমনকি, সম্ভবত পুরো কলার তুলনায় এর ফ্লোয়েম বান্ডেলে অনেক বেশি ও বিভিন্ন ধরনের ফাইবার রয়েছে। আর যেকোনো ফাইবার মানেই স্বাস্থ্যকর।

এই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, ‘সাধারণত ফলের সব অংশই পুষ্টিকর। আপেল, নাশপাতি অন্যান্য ফলগুলো খোসা সহ খাওয়া হয়ে থাকে। ফ্লোয়েম বান্ডেল তো অবশ্যই, এমনকি চাইলে খোসাসহ কলা খাওয়া যেতে পারে। বেস্বাদ হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণায় কলার খোসা ক্ষতিকারক বলে প্রমাণিত হয়নি।’

তবে, কলার খোসা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না ডা. গিলিট।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন