বাংলাদেশের গ্রামীণ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১০৯ দশমিক ৩১ টাকা ধরে)। ফলে উপকৃত হবে ৯ লাখ জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে উপকার ভোগ করবে ৬০ শতাংশ নারী। রোববার বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি প্রতিযোগিতামূলক কর্মীবাহিনী তৈরি করা জরুরি, যেখানে কোনো তরুণকে বাদ দেওয়া হয় না। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নয়ন অগ্রাধিকার। এই ঋণ প্রকল্পটি দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষার ধারাবাহিকতা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতামূলক কর্মী বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, গ্রামীণ যুবকদের, বিশেষ করে নারীদের সুবিধাজনক অবস্থানে নেওয়ার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। যেখানে উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রতিযোগিতামূলক অর্থায়ন এবং পরামর্শ সহায়তাও দেওয়া হবে। এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ড্রপআউটদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করবে।
এ ঋণের ফলে উপকৃত হবে ৯ লাখ বেকার তরুণ। এর মধ্যে উপকার ভোগ করবে ৬০ শতাংশ নারী।
ইকোনোমিক অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড রেজিলেন্স প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ দেওয়া হবে। অর্থনৈতিকভাবে বেকার যুবকদের শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান লাভে বাধা দেয় এমন বিষয়গুলো দূর করা হবে। এটি গ্রামীণ যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ, বিকল্প শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা তৈরির কাজে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি বিভিন্ন দক্ষতা বিকাশের সুযোগ দেওয়ার জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করবে এবং বাজার-চালিত ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যে অনলাইন ও অফলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের বিষয়ে শিক্ষা দেবে।