The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

কর্মকর্তা সমিতির বাঁধা উপেক্ষা করে ইবিতে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত

ইবি প্রতিনিধি: ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে গতকাল দিনভর উত্তাল ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল্যালয় (ইবি)। শিক্ষক-কর্মকর্তারা নিয়োগ বন্ধের দাবি জানান। তবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একাংশ নিয়োগের পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন শিক্ষকদের একাংশ ও ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের একাংশকে গালাগাল ও লাঞ্চিত করেছেন বলে এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে নিয়োগ কার্যক্রম ও প্রমোশন বোর্ড শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। এসময় বাসভবনে গিয়েও নিয়োগ পরীক্ষার্থীদের চলে যেতে বলে কর্মকর্তা সমিতির নেতৃবৃন্দরা। তবে সেই বাধা উপেক্ষা করেই পরীক্ষা দিয়েছেন সবাই। লিখিত পরীক্ষা শেষে পরবর্তীতে ৭ জনকে ভাইভার জন্যও মনোনিত করে নিয়োগ বোর্ড।

এসময় নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন ইবি উপাচার্য ড. শেখ আব্দুল সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, ইবির সিন্ডিকেট সদস্য ও আরবি বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউসুফ, ইবির ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।

কোনো নিয়োগের ব্যাপারে বিব্রতকর পরিবেশ কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। ইমাম নিয়োগ বোর্ড শেষে তিনি বলেন, অনেক আগ্রহের সঙ্গে ইবিতে এসেছিলাম কষ্ট করে। তবে এখানে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। এখানে যেটা হয়েছে সেটা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, কোনো নিয়োগের ব্যাপারে এ ধরনের পরিবেশ তৈরি না হোক। ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, আমরা ন্যায্যতার ভিত্তিতে এ নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছি। সরকার যতদিন আমাদের এ চেয়ারে রাখবে, আমরা ততদিন এ প্রক্রিয়া চালু রাখব। যারা বাধা দিয়েছে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগের বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নিয়োগ বন্ধ করতে কর্মকর্তারা চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরে উন্নীতকরণ, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তিতে পোষ্য কোটায় মার্ক শিথীলকরণসহ ১৩ দফা দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ড বন্ধ রাখার দাবি জানান। একপর্যায়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান কর্মকর্তারা। এসময় উপাচার্যকে নিয়োগ বোর্ড বন্ধের দাবি জানান ও বাগবিতণ্ডায় জড়ান।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.