সারাবিশ্বেই করোনার প্রকোপ বেড়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশেও। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার হিসেবে ঢাকা বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেশি দেখালেও শনাক্তের হারে ঢাকাকে পেছনে ফেলেছে বাকী সব বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ হাজার ৯০৬ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১.২৯ শতাংশ। সর্বশেষ এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হারের খবর এসেছিল গত ২৪ জুলাই। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ৩২.৫৫ শতাংশ, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩৭.০৮ শতাংশ শনাক্তের হার ছিল ময়মনসিংহ বিভাগে। অর্থাৎ ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের বেশি মিলছে করোনা রোগী। এই সময়ে সর্বনিম্ন ৩০.১২ শতাংশ শনাক্তের হার ছিল ঢাকা বিভাগে। অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে রংপুরে ৩৬.৫৮ শতাংশ, সিলেটে ৩৬.১৩ শতাংশ, খুলনায় ৩৪.৫১ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৪.৩৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৩২.৮০ শতাংশ ও বরিশালে ৩০.৩১ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষার ৬৯.৪৫ ভাগ (২৪ হাজার ২০৬টি) হয়েছে ঢাকা বিভাগে। শনাক্ত রোগীর ৬৬.৮৬ ভাগ (৭ হাজার ২৯২ জন) পাওয়া গেছে এই বিভাগে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৫০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১৮৮ জনের, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৭১৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫৪৬ জনের, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫২৫ জনের, রংপুরে ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬৫ জনের, খুলনায় ১ হাজার ৪১১টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮৭ জনের, বরিশালে ৫৭৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৪ জনের ও সিলেটে ১ হাজার ৪৬৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৫২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ১১টি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তারা। মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শপিং মল, হোটেলে যেতে হলে দেখাতে হবে টিকা সনদ। এছাড়া সংক্রমণ বাড়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।