ঘূর্ণিঝড় দানার সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিয়েছে বৃষ্টি। তবুও তাপমাত্রাও থাকছে বেশ সহনীয় পর্যায়ে যা সামনের দিনগুলোতে ক্রমেই কমবে। এদিকে দিনের দৈর্ঘ্যও কমছে ধীরে ধীরে। বাড়ছে রাতের বিস্তৃতি।
দেশের কোনো কোনো অঞ্চল থেকে রাতে বা ভোরের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আর কিছুদিন পরেই টের পাওয়া যেতে পারে শীতের আগমনী বার্তা। প্রান্তিক অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীত অনুভুত হতে পারে মধ্য নভেম্বরেই।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক রবিবার রাতে বলেন, ‘আবহাওয়া এখন একেবারেই স্বাভাবিক।
আগামী কিছুদিন তেমন বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তাপমাত্রা এখন ধীরে ধীরে কমবে। সামনে রাতের ব্যাপ্তিকাল ক্রমে বাড়তে থাকবে এবং দিনের ব্যাপ্তি কমবে। এতে দিনের সূর্যের কিরণকালও ধীরে ধীরে কমবে।
সব মিলিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ প্রান্তিক পর্যায়ে মোটা দাগে শীত অনুভূত হওয়া শুরু হতে পারে।’
তবে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে এখনই কিছুটা শীতের আমেজ তৈরি হতে পারে বলে জানান আবুল কালাম মল্লিক। তিনি বলেন, রাতে বা ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন ভাবও হতে পারে। তবে কুয়াশা না বলে এটাকে ধোঁয়াশা বলাই ভালো। এই সময়ের জন্য এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ভোররাতের দিকে একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাবও অনুভূত হতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে আগামীকাল সোমবার। দিন ও রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। আগামী মঙ্গলবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন বুধবার এই দুই বিভাগের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের দুই-এক জায়গাতেও হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।