এ.কে আজাদ
তিমিরে ঢাকা জীবন মোর
এখন দেখছে আলোর ছায়া,
সেই রশ্মিতে উজ্জ্বল সব
ঘিরে সুধুই তোমার মায়া।
মোর বক্ষে শুধু সদা তুমি
নিবেদি’-প্রাণ তব চরণে,
মোর সত্য রথের চালক
তুমি, আছো সর্বদা স্বরণে।
তুমি মোর নিষ্পেষিত প্রাণে
জাগিয়ে দিলে শিক্ষার জ্যাতি,
স্নেহের টানে জড়িয়ে মোরে
নিভিয়ে দিলে আধার-বাতি।
হায় তাত, তব সুশ্রী বাক্য
কম্প-ধ্বনি তোলে মোর বক্ষে,
যেন হারিয়ে আমি তোমাতে
তুমি বিরাজমান মোর লক্ষে।
আমার সত্য তোমাকে চেনে
মিথ্যার মেলে সতর্ক ধ্বনি,
তুমি ধী-মান, বিজ্ঞ,সুমতি
মোর বার্ধক্যের শিরোমণি।
মোর রুদ্ধ শ্বাসের দরজা
হচ্ছে মুক্ত। তাই আমি ধন্য,
নিমীতলোচনে পাপড়ি ফুটছে
মোর হৃদয়ে তুমি অনন্য।
হে পিতৃব্য,কেমনে সুধাই
তব অসীম মায়াবি ঋণ,
অন্তরেতে দিয়ো মোরে ঠাই
তবেই বাজবে সুখিবীন।
রিক্ত হৃদয়ে দারিয়ে আমি
কখন পুষ্প ফুটবে শাখে,
শীতকে কেটে আসবে বসন্ত
পাখিরা আসবে ঝাঁকে ঝাঁকে।
দেখবে সবে সেই পুষ্প বৃতি
কত নান্দনিক তব হাতে,
ছেড়না মোরে রাখিও বুকে
নইলে, আমি ধ্বসিবো প্রভাতে।
আজব মহিতে এক অন্ধ
আমি, সুপথের তুমি সাথি,
শশী আমি দিবাকর তুমি
তব বিনা মন্থরীত গতি।
– শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।