ডেস্ক রিপোর্ট: বাসার ওয়াশরুমে ধূমপানের জন্য গ্যাস লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরানোর সময় দগ্ধ হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী (৫৯)। আজ শনিবার সকাল ৭টার দিকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আজ ভোর ৫টার দিকে বনানীর বাসায় ওয়াশরুমে ধূমপানের জন্য গ্যাস লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরানোর সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হন বাবুল কাজী। পরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ। তাকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরএস ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বাবুল কাজীকে দগ্ধ অবস্থায় লোকজন ভোরে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার ৭৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি বনানীর বাসায় ওয়াশরুমে ধূমপানের কারণে এই দগ্ধের ঘটনাটি ঘটে।’
প্রসঙ্গত, ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ২৫ বছর বয়সে কলকাতায় প্রমীলা দেবীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে চার ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, যাদের মধ্যে অন্যতম কাজী সব্যসাচী। আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও উমা কাজীর তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বাবুল কাজী। বাবুল কাজীর বড় দুই বোন খিলখিল কাজী ও মিষ্টি কাজী; তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।