পড়াশোনার মান, কর্মসংস্থান ও নিরাপদ জীবন যাপনের জন্য অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। আর ব্রিটিশ শিক্ষা কার্যক্রম অনুসরণ করা নিউজিল্যান্ড সব সময়ই শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার ওপরে থাকে। নিউজিল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মাত্র আটটি। কারণ তারা সংখ্যা না, পড়াশোনার মানের ওপর বেশি জোর দেয়।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই গুণগত শিক্ষা দেওয়া হয়। তা ছাড়া বৈশ্বিক ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান শীর্ষ সারিতেই। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয় নিউজিল্যান্ডের ওটাগো শহরে অবস্থিত প্রাচীন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৬৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার খরচ তুলনামূলক বেশি। তবে খরচ প্রধানত নির্ভর করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান, বিষয় ও কোন পর্যায়ে পড়াশোনা করবেন তার ওপর। নিউজিল্যান্ড সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির কার্যক্রম চালু রেখেছে। তেমনই একটি বৃত্তি হলো ‘ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো ডক্টরাল স্কলারশিপ’। বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বছরের যেকোনো সময় আবেদন করা যাবে। প্রতিবছর মোট ২০০ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
যেসব অনুষদে পিএইচডি করা যাবে:
▶ দর্শন
▶ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
▶ হেলথ সায়েন্স
▶ আইন
▶ সাহিত্য
▶ সংগীত
▶ দন্তচিকিৎসা
▶ গ্রামীণ স্বাস্থ্য
▶ সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন
▶ বায়োমেডিসিন
সুযোগ-সুবিধা
▶ ৩ বছরের জন্য টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হবে।
▶ বছরে ২৮ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা।
▶ বিভিন্ন রাজ্যে বিনা মূল্যে গবেষণার সুযোগ।
▶ বিভিন্ন সংস্কৃতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
▶ পড়াশোনা শেষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
▶ খণ্ডকালীন চাকরির সুবিধা
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। পূর্ণকালীন বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনাকালীন সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজের অনুমতি পান। আর ছুটির দিনে পূর্ণকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী খণ্ডকালীন কাজ করতে পারবেন কি পারবেন না, তা ভিসার শর্তেই যুক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে ভিসার শর্তাবলি ভালো করে দেখে নিতে হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
▶ আবেদনকারীর অবশ্যই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ভালো ফলাফল থাকতে হবে।
▶ স্নাতকোত্তরে গবেষণাপত্র থাকতে হবে। গবেষণার প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে।
▶ ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে অথবা টোয়েফল আইবিটিতে ন্যূনতম ৯৫ স্কোর তুলতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
▶ পাসপোর্টের কপি।
▶ একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
▶ এসওপি।
▶ ভাষা পরীক্ষার সনদ।
▶ গবেষণাপত্র।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে হবে।