শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়। বই হাতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহ পর সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
বন্যাকবলিত অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যাকবলিত অনেক এলাকায় এখনো পানি নামেনি। আবার অনেক এলাকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর বইপত্র নষ্ট হয়েছে। তাদের বইপত্র পৌঁছাতে হবে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে।
এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে এসএসসি এবং এইচএসসি সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়। বই হাতে পৌঁছানোর দুই সপ্তাহ পর সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু করোনা বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।
এদিকে, রোববার (৩ জুলাই) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভায় দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী মাসে নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের কথা জানায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে ঈদের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারিখ চূড়ান্ত ঘোষণা করা বলেও জানায় তারা।
এ ছাড়াও এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পিছিয়ে অক্টোবরে শুরুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ছিল আগামী মাসে।
সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, সভায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান যেসব তথ্য–উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন, তাতে দেখা গেছে সিলেট বোর্ডের অর্ধেক কেন্দ্র এখনও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কেন্দ্র পরীক্ষার উপযোগী করতে এ মাস লেগে যাবে, এজন্য পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। ঈদের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগস্টে এসএসসি শুরুর সম্ভাবনার দিন রাখা হয়েছে।
আর এসএসসি পরীক্ষা যদি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে শুরু করা যায়, তাহলে এইচএসসি পরীক্ষা অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরুর সম্ভাবনা আছে। কারণ, এই দুই পরীক্ষার মধ্যে দুই মাসের বিরতির দরকার হয় বলেও জানান তিনি।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৯ জুন শুরুর কথা ছিল। তবে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় পরীক্ষা শুরুর আগে রাতে তা স্থগিত করা হয়। যার কারণে এইচএসসিও পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।