বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ তে শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম ৩০০ নম্বর যুক্ত করাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাদ্রাসা শিক্ষার মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ চ্যালেঞ্জ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অন্তর্ভুক্ত সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ফাতেমা রহমান, মোর্শেদা ইয়াসমিনসহ ৯ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ফারুখ আলমগীর চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
ফারুখ আলমগীর বলেন, আবেদনকারীরা ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে এনটিআরসিএ পরীক্ষায় পাস করেছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে নতুন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ করে। তাতে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ৩০০ নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে।
এ আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেলরা যখন পাস করে, তখন ৩০০ নম্বর ছিল না। কিন্তু এত বছর পর এসে এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করা সংবিধানের ২৭ ও ২৯ ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ন্যূনতম ৩০০ নম্বর নির্ধারণ হয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকরা ডিগ্রি/স্নাতক কোর্স ৪০০ নম্বরের করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।