এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫ বছর অতিক্রম করা শিক্ষকরা।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে তারা এ স্মারকলিপি দেন। এর আগে সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা এনটিআরসিএ’র সামনে জড়ো হন। সেখানে তারা কিছুক্ষণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর তারা এনটিআরসিএ সচিব এনামুল কাদের খান বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন।
জানা গেছে, এনটিআরসিএ থেকে বের হয়ে শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে তারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীককে স্মারকলিপি দেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি না থাকায় তার একান্ত সচিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে তারা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমিন বরাবরও স্মারকলিপি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বারপাইকা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, মাউশি ডিজি (মহাপরিচালক), মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজিকে আমাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আমাদের এমপিওভুক্তি সমস্যার সমাধানে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
শিক্ষকরা জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত সুপারিশপত্রের ৪নং পয়েন্টে ৩৯০০/২০১৯ নং মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১২ জুনের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ অর্জন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকায় আমরা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।
পরে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সহযোগিতায় আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমপিওর জন্য আবেদন করি। তবে মাদরাসা অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল প্রোগ্রামার থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মতো মার্চ মাসেও আমাদের এমপিও ফাইল গণহারে রিজেক্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন আমাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি। যা আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ের পরিপন্থী।