The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৭ই এপ্রিল, ২০২৪

এমপিওভুক্তিতে ৪০০ নম্বরের জটিলতা সমাধান চান মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষকরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হওয়া নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন। এমপিও না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেতন ছাড়াই চাকরি করছেন তারা। এতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগীরা। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নূন্যতম ৩০০ নম্বর নির্ধারণ হয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকরা ডিগ্রি/স্নাতক কোর্স ৪০০ নম্বরের সম্পন্ন করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলছেন, তারা ডিগ্রি সার্টিফিকেট কোর্স ৪০০ নম্বরের ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেছেন। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। যোগদানের পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছেন। তবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বারবার তাদের ফাইলগুলো রিজেক্ট করে দিচ্ছে। এর কারণ হিসেবে মাদ্রাসা অধিদপ্তর ৩০০ নম্বরের স্নাতক নেই বলে উল্লেখ করছে। যদিও স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।

তারা জানান, সুপারিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এমপিও না হওয়ায় তারা বেতন পাচ্ছেন না। ফলে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাদের এমপিওভুক্ত করা হোক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন বলেন, আমাদের যে এমপিও নীতিমালা সেখানে ৩০০ নম্বরের কথা বলা হয়েছে। যারা এমপিও হতে পারছেন না তাদের ৪০০ নম্বরের কোর্স করা। আমরা এমপিও নীতিমালার বাইরে যেতে পারি না। সেজন্য তাদের এমপিও ফাইলগুলো রিজেক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমপিওভুক্ত হতে না পারা শিক্ষকদের জটিলতার বিষয়টি আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. ক্যাম্পাস
  3. এমপিওভুক্তিতে ৪০০ নম্বরের জটিলতা সমাধান চান মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষকরা

এমপিওভুক্তিতে ৪০০ নম্বরের জটিলতা সমাধান চান মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষকরা

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হওয়া নিয়ে জটিলতায় পড়েছেন। এমপিও না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেতন ছাড়াই চাকরি করছেন তারা। এতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগীরা। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ইংরেজি শিক্ষকদের যোগ্যতা স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নূন্যতম ৩০০ নম্বর নির্ধারণ হয়। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত ইংরেজি শিক্ষকরা ডিগ্রি/স্নাতক কোর্স ৪০০ নম্বরের সম্পন্ন করায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলছেন, তারা ডিগ্রি সার্টিফিকেট কোর্স ৪০০ নম্বরের ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে সনদ অর্জন করেছেন। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। যোগদানের পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এমপিওভুক্তির আবেদন করেছেন। তবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বারবার তাদের ফাইলগুলো রিজেক্ট করে দিচ্ছে। এর কারণ হিসেবে মাদ্রাসা অধিদপ্তর ৩০০ নম্বরের স্নাতক নেই বলে উল্লেখ করছে। যদিও স্কুল পর্যায়ে সুপারিশপ্রাপ্তরা ৪০০ নম্বরের কোর্স করেও এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।

তারা জানান, সুপারিশ পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও এখনো তারা এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। এমপিও না হওয়ায় তারা বেতন পাচ্ছেন না। ফলে পরিবার নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে তাদের এমপিওভুক্ত করা হোক।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাদ্রাসা শিক্ষ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন বলেন, আমাদের যে এমপিও নীতিমালা সেখানে ৩০০ নম্বরের কথা বলা হয়েছে। যারা এমপিও হতে পারছেন না তাদের ৪০০ নম্বরের কোর্স করা। আমরা এমপিও নীতিমালার বাইরে যেতে পারি না। সেজন্য তাদের এমপিও ফাইলগুলো রিজেক্ট করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমপিওভুক্ত হতে না পারা শিক্ষকদের জটিলতার বিষয়টি আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করেছি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা আসলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন