বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৫ ঊর্ধ্বো শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আদালতের দেয়া রায় মানতে হবে। এর ব্যতিক্রম হওয়ার সুযোগ নেই।
বুধবার (১৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এমপিও নীতিমালায় ৩৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে যেহেতু বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালত একটি রায় দিয়েছে তাই ওই রায় মানতেই হবে। রায় না মানলে আদালত অবমাননা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) ফৌজিয়া জাফরীন বলেন, শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। আদালতের রায় থাকার পরও যদি কারো এমপিওভুক্তিতে সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (প্রশাসন অধিশাখা-২ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব মাদ্রাসা অধিশাখা) ড. মো. আয়াতুল ইসলাম বলেন, ৩৫ ঊর্ধ্বো শিক্ষকদের ক্ষেত্রে আদালত কি রায় দিয়েছে সেটি আমার জানা নেই। তবে আদালতের নির্দেশ অবশ্যই মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে আদালতের দেয়া রায়ের কপিটি দেখতে হবে। এরপর এ বিষয়ে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৫ জুলাই বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিক্ষক হিসেবে যোগদানের জন্য ৩৪ হাজার ৭৩ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়।
চূড়ান্ত সুপারিশপত্রে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে দেয় এনটিআরসিএ। সেখানে তারা জানায় ‘‘উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ অর্জন করেছেন তাদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য।’’ তবে উচ্চ আদালতের এই রায় না মেনে অনেকেরেই এমপিও ফাইল রিজেক্ট করে আসছে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।