সাইফুল মিয়া, চবিঃ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখায় দ্বিতীয়বারের মতো ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কতৃপক্ষ।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। রোববার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে আয়োজিত হয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার, সহকারী প্রক্টর আফজালুর রহমান, রোকন উদ্দিন, সৌরভ সাহা জয়সহ আরও উপস্থিত ছিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কারণে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা গতবছর ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করেছি। এবছরও আমরা আরো ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছি। ভিসি, ডিন আসবে যাবে, তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা প্রতিবছর সম্মান জানিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হবে। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চবি উপ-উপাচার্য, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এ. এইচ. জিলানি চৌধুরী প্রমুখ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অতীত স্মৃতিচারণে মুক্তিযোদ্ধা এ. এইচ. জিলানি চৌধুরী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। নানা ত্যাগ স্বীকার করে আমরা নয়মাস ব্যাপী যুদ্ধ করেছি। পেয়েছি আমাদের স্বাধীন পতাকা। বর্তমান প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে।
এদিন সকালে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করে চবি প্রশাসন। ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়।