সব বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ‘বৈষম্যহীন’ ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছে ২০২৪ সালের এইচএসসির শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেলে তিনটার দিকে এই দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন।
এসময় তারা সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ‘বৈষম্যহীন’ ফলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে রোববার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে একই দাবিতে তারা মিছিল নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হন। পরে তারা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তারা তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে যান। সেখানে ভাঙচুরও চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
সন্ধ্যার দিকে একদল শিক্ষার্থী ‘অটোপাসের’ দাবি তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অব্যাহতির ঘোষণা ও পরের দিন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সচিব বরাবর অব্যাহতির আবেদন জমা দেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত জানান।
১৫ অক্টোবর এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। স্থগিত হওয়া বিষয়গুলোর পরীক্ষা আন্দোলনের মুখে বাতিলের কারণে এবার এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন হয়েছে ভিন্ন পদ্ধতিতে। বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর মূল্যায়ন হয়েছে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে (বিষয় ম্যাপিং)। অর্থাৎ এসএসসিতে যে শিক্ষার্থী যত নম্বর পেয়েছিলেন, সেটা এইচএসসিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আর এইচএসসিতে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা হয়েছিল, সেগুলোর উত্তরপত্রের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হয়েছে। এ দুই মূল্যায়ন মিলে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতিমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সব বিষয়ের ওপর ‘ম্যাপিং’ করে ফলাফল নতুন করে প্রকাশ করতে হবে।
তাদের দাবি, ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক ফল বাতিলসহ দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে সমভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে পুনরায় ফল প্রকাশ করতে হবে।
ওই চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফল বাতিল করে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি করে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।