The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

এবারের ফলে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কঠিন হবে

২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। রেকর্ড পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ায় আনন্দ-উল্লাসে ভাসছেন শিক্ষার্থীরা। প্রকাশিত ফল নিয়ে রবিবার গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, এবারে পাস করা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অনেক চ্যালেঞ্জের হবে।

অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পুনর্বিন্যস্ত সিলেবাসে স্বল্প পরিসরে নেওয়া হয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মাত্র তিনটি বিষয়ের ছয়টি পত্রে পড়াশোনা করেছে তারা। আর এসব বিষয়েও সিলেবাস ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত।

‘‘কিন্তু এইচএসসি পাস করার পর এই শিক্ষার্থীদের পুরো সিলেবাসের ভর্তি পরীক্ষায় বসতে হবে। তাই ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াই হবে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। ভর্তির প্রস্তুতি নিতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে ভর্তিচ্ছুদের।’’

এদিকে এবারের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৩৯ হাজারের বেশি। আর এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার। ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন না ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে এবার পরীক্ষায় পাস করেছেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। আর পাবলিক-প্রাইভেট মিলিয়ে আসন রয়েছে ৪ লাখের বেশি। ফলে এক্ষেত্রেও বঞ্চিত হবেন শিক্ষার্থীরা।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বেশিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনের এই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করাও চ্যালেঞ্জ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। প্রতিকূল পরিবেশে তাদের পড়াশোনা করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগে ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়ে অটো প্রমোশন দেওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছিল। এবার পরীক্ষা নেওয়ার কারণে সরকার সাধুবাদ পেতে পারে।

চলতি বছরের পাবলিক পরীক্ষা স্বাভাবিকভাবে নেয়ার তাগিদ দিয়ে এ অধ্যক্ষ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে নির্ধারিত পুনর্বিন্যস্ত সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান শেষ করেই চলতি বছরের পাবলিক পরীক্ষাগুলো নিতে হবে। পরীক্ষার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। স্কুল-কলেজ খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চালিয়ে নিতে হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.