নিজস্ব প্রতিবেদক: এনটিআরসি কর্তৃপক্ষের বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রতাহার করে স্বাভাবিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগসহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিবন্ধনপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে ‘অবৈধ গণবিজ্ঞপ্তি মানি না মানবো না’, ‘আবু সাঈদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, অনিয়মের কবর দে’, ‘অবৈধ দাবি যেখান, লড়াই হবে সেখানে’, ‘মেধা ছাড়া শিক্ষক,অযোগ্য অযোগ্য’, ‘আইনের বরখেলাপ চলবে না চলবে না’ প্রভৃতি স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের উত্থাপিত দাবী সমূহ হলো- ১. ১৮তম রেজাল্ট এর আগে কোন বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নয়। ২.১৮ তম পরীক্ষার্থীদের লিখিত রেজাল্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিয়ে অক্টোবরের ভাইভা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করা। ৩. শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ১৮তম দের অগ্রাধিকার দেওয়া। ৪. এনটিআরসিএ এর পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৫. ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। ৬. ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮তমদের নিয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ৭. অটো এমপিও চালু করা। ৮. ০১-১২ তমদের আদালতের রায় বহাল রাখতে হবে এবং ৯. বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে।
সমাবেশে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা এতোদিন আন্দোলন করেছি বৈষম্যের বিরুদ্ধে, এখন আমাদের রুটি রুজির আন্দোলন। ১৮তম নিবন্ধনে পরিক্ষার্থী ছিলো সাড়ে ৩ লাখ যার বিপরীতে পদ আছে ৭৫ হাজারের মতো।কিন্তু কর্তৃপক্ষ শিক্ষক সংকট দেখিয়ে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়মবহির্ভূত ভাবে নিয়োগ দিচ্ছে যাদের অধিকাংশের বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং তাদের চারটা বিজ্ঞপ্তিতেও চাকরি হয়নি কারণ তাদের রেজাল্ট খারাপ। এমন অযোগ্যদের চাকরি দিলে শিক্ষার মান খারাপ হবে। আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন পুরণ হবে না।