বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ জাল করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৭৯৯ জন। এই সনদধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা বিভাগ (ডিআইএ)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের ২৪ হাজার ১২৩টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে ডিআইএ। এরমধ্যে যাচাইবাছাই শেষে ১৬ হাজার ৮৫২টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যাচাই শেষ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ১ হাজার ১০৮ জন শিক্ষকের সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিআইএ’র প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ জাল পাওয়া গেছে। ৭৯৯ জনের শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ জাল। এরপর কম্পিউটার সনদ জাল পাওয়া গেছে ২৪৯ জনের। আর অন্যান্য সনদ জাল পাওয়া গেছে ৬০ জনের। এসব শিক্ষক জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬০ টাকা অবৈধভাবে নিয়েছেন, যা ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৭ জন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১২৩ জন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১১৯ জন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৪১ জন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১২ জন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২০৩ জন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১১৮ জন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭৭ জন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৪১ জন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৭ জন জাল সনদধারী চিহ্নিত করেছে ডিআইএ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিআইএ’র পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে জাল সনদের তথ্য পাওয়া যায়। সেগুলো যাচাইবাছাই শেষে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা মূলত এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার সনদ এবং গ্রন্থাগার সনদের প্রতি বেশি জোর দেই। যদি অন্যান্য সনদও জোর দিয়ে যাচাই করা হয় তাহলে জাল সনদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেত।